সাটুরিয়া আর দৌলতপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে প্রমত্তা ধলেশ্বরী নদী। বর্তমান সরকারের ব্রীজ নির্মানের সাফল্যকে অনেকটা ম্লঅন করেছে এ এলাকায়। খেয়া নৌকা এখন রুপকথার গল্পের মতো হলেও এখানে নৌকাই একমাত্র ভরসা। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ব্রীজ বঞ্চিত ২০টি গ্রামের মানুষ।
ভুক্ত ভুগিরা জানান, সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ, আগসাভার, রৌহা, গোপালপুর, ছনকা, রাজৈর, জালসুখা, নাসুর পুর, পাতিলা পাড়া, এবং দৌলত পুর উপজেলার কলমাইদ, কলিয়া, ছনকা বাজার, ঘুনা, হামজা, বারিগ্রাম, বনগ্রাম সহ কয়েক হাজার মানুষ এ খেয়া পার হয়ে নিজ জেলা ও রাজধানী ঢাকায় চলাচল করে।
একেক পারে খেয়া নৌকার সময় লাগে প্রায় ১৫/২০ মিনিট। ভরা বর্ষাকালে আরো বেশি। দুই পারেই রয়েছে সাপ্তাহিক হাট। হাটের দিন রোদ বৃষ্টি মাথায নিয়ে দু‘পারে অপেক্ষার য›ত্রনা নিত্যদিনের। বেশি ভোগান্তির শিকার ৮/৯শ শিক্ষার্থী। সময়মতো ক্লাশে পৌছাতে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে উঠেন খেয়ানৌকায়। এতে কখনো খেয়া ডুবে সাতরে উঠতে হয় তীরে। সন্ধের পরে থাকে না খেয়ার মাঝি, ফলে বিরম্বনায় পড়েন পথোচারি শ্রমিক ও নারীরা। মৌসুমী শাকসবজী তরিতরকারি উৎপাদনে বিখ্যাত সাটুরিয়ার এ এলাকা। শুধু খেযার কারনে ঢুকে না গাড়ি। তাই রাজধানী বাজারে উপযুক্ত মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চাষীরা। গাভীর খাটি দুধ কমদামে বিক্রি হয় কেবল নদী পারাপারের কারনে।
এ নদীর তীরবর্তী রয়েছে একাধিক উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলে যেতে খেয়া পার নিয়ে দুঃচিন্তায় থাকেন শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা। আ.রফিক, শফিকুল, মিতু, লায়লা সহ একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ১পার ফেল হলে সময় লাগে প্রায় ১ঘন্টা। এতে ক্লাশে যাওয়ার সময় থাকে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো.তৈয়বুর রহমান এবং বরাইদ ইউপি চেয়ারম্যান মো.হারুনর রশিদ দৈনিক কে বলেন, রাজৈর ঘাটে ব্রীজ দাবীর আবেদন প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় ও পল্লী উন্নয়ন সেতু নির্মান প্রকল্পে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করি ব্রীজটি দ্রুত বাস্তাবায়ন হয়ে যাবে।
Leave a Reply