স্টাফ রিপোর্ট- ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ বাজারে রোববার সংঘটিত হত্যাকান্ডের ঘটনায় ফলোআপ তথ্য সংগ্রহের পর অদ্য ২৫ আগস্ট সোমবার দেওয়ানগঞ্জ মধুপুর রাস্তার পাশে প্রতিষ্ঠিত ১০৬ নং হাটশিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা ২ টা ৪০ মিনিটে শিক্ষা পর্যবেক্ষনে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন সিনিয়র সাংবাদিক ও নান্দাইল রোড উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ৩বারের চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হক বাবুল।
সাথে ছিলেন দৈনিক দিনকালের সাংবাদিক এবি সিদ্দিক খসরু ও দৈনিক বর্তমানের সাংবাদিক মো. শাহজাহান ফকির। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাকের আহম্মেদকে অফিস কক্ষে কাজ করতে দেখতে পাওয়া যায়। আলোচনাক্রমে জানাযায়, উক্ত বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষকের মাঝে ১জন মাতৃত্বজনিত ছুটিতে আছেন। বাকীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। নান্দাইল উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার কবিতা নন্দী গত ৩০জুন ২০১৯ বিদ্যালয়টি সর্বশেষ পরিদর্শন করেন। আমরা ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীতে কাস চলমান দেখতে পাই। বিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৩০১ জন। প্রধান শিক্ষককে সাথে নিয়ে ৩য় শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রী ৪৬, অদ্য উপস্থিতি ৩৬ জন, ৪র্থ শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রী ৪২জন, অদ্য উপস্থিতি ৩৫ জন ও ৫ম শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রী ৩৬জন, অদ্য উপস্থিতি ৩০ জন দেখতে পাওয়া যায়।
প্রতিটি কাসে শতভাগ স্কুল ড্রেস পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী পাওয়া গেছে। তিনটি শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রীদের মেধা যাচাই ও সামাজিক বিষয়ে অবহিত করতে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়টি গ্রামের এক পাশে হলেও ছাত্রছাত্রীদের উত্তর খুবই সন্তোষজনক ছিল। মেধা যাচাইকালে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জাতির জনকের নাম জানতে চাইলে তারা উত্তর দিতে পেরেছে। বিদ্যালয়ের একটি ঝুকি পূর্ণ ভবনে ছাত্রছাত্রীদেরকে পাঠদান করা হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় বাউন্ডারী দেওয়ালের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক সেল ফোনে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকে অবহিত করা হয়েছে এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে। বিগত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে অত্র বিদ্যালয়ে স্লিপ খাতে ৭০ হাজার ও ওয়াশ ব্লক ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
প্রধান শিক্ষকের স্বচ্ছতায় বিদ্যালয়টিকে লাল-সবুজে রাঙ্গানো হয়েছে। এছাড়া ২৫ হাজার টাকায় বায়োমেট্টিক হাজিরা মেশিন ক্রয় করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা আছে বলে প্রধান শিক্ষক জানান। বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ খুবই সুন্দর। সত্যিকার অর্থে নেগেটিভ লেখার মতো আমাদের চোখে কিছুই পড়েনি। আশা করি নান্দাইলের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হাটশিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো গড়ে উঠবে। পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে।