রফিকুল ইসলাম রফিক: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নে একটি মসজিদের নির্মাণ কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের হিসাবে উক্ত গ্রামের ফজলুর রহমান (৫৫) নামে বৃদ্ধাকে মারধর করে তার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ছিনাইয়া নেওয়ার ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনায় বৃদ্ধার মাথায় ও হাতে গুরুতর জখম হয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় তার ভাতিজা আঃ গণি ভুইয়ার পুত্র আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের নামে মামলা নং ৪৩ দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হচ্ছে একই গ্রামের বিবাদী মৃত মুক্তার হোসেনের পুত্র মনজু মিয়া, মনজু মিয়ার পুত্র শাহিন ও শামীম এবং লতিবফুর গ্রামের আঃ আজিজের পুত্র হারুন অর রশিদ, স্বপন মিয়া, মৃত ফিরোজ মিয়ার পুত্র বাবুল মিয়া।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ফজলুর রহমান গরু কেনার জন্য পার্শ্ববর্তী নীলগঞ্জ বাজারের যাওয়ার পথে ইন্দারগাতী গ্রামে চপই বাজার সংলগ্ন পাকা রাস্তায় উঠা মাত্রই উল্লেখিত ব্যাক্তিরা অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার উপর আক্রমন করে এবং তার নিকট থেকে দেড় লাখ টাকা ছিনাইয়া নিয়া যায়।
বাদী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ‘চপই মাদ্রাসার সুপার হারুন অর রশিদ অত্র ঘটনার মূল হোতা। হারুন একজন মামলাবাজ ও দূর্নীতিবাজ শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন ধরনের একাধিক মামলা রয়েছে।’
নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অত্র মামলার ১নং আসামী মাদ্রাসার সুপার হারুন অর রশিদকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) শুভ সাহা নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে ফজলুর রহমানের পরিবার আমাীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
ছবি-সংযুক্ত