ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের মিশ্রিপুর রাহিমিয়া দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চারপাশে গড়ে উঠেছে একাধিক মুরগীর খামার। খোলামেলা পরিবেশে ব্রয়লার মুরগীর খাদ্য ও বিষ্ঠার দূর্গন্ধ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান সহ তার চারপাশ ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে অস¦াস্থ্য পরিবেশ ও অসহ্যনীয়ভাবে চলছে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান কার্যক্রম। সরজমিন দেখা যায়, মিশ্রিপুর মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের দক্ষিন পাশে প্রায় ১৫/২০ গজ দূরে মাদ্রাসায় যাওয়ার রাস্তার পাশে ৪টি মুরগীর খামার রয়েছে। অপরদিকে মাদ্রাসার উত্তর পাশে একই পরিমাণ দূরত্বে রয়েছে আরও ৩/৪টি মুরগীর খামার। দক্ষিণ ও উত্তর দিকের ফুরফুরে বাতাসের পরিবর্তে এবার মাদ্রাসা শিক্ষাঙ্গন সহ অত্র মাদ্রাসা মসজিদে ভেসে বেড়াচ্ছে ব্রয়লার মূরগীর অসহ্যনীয় দূর্গন্ধ। এতে করে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী সহ
মাদ্রাসা মসজিদের মুসল্লিদের স্বাস্থ্যগত ঝুকি রয়েছে। খবর নিয়ে জানযায়, অত্র মাদ্রাসারই সহকারী শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, মিশ্রিপুর গ্রামের ইব্রাহীম, মানিক মিয়া সহ আরও অনেকের ব্রয়লার মূরগীর খামার রয়েছে। শিক্ষাঙ্গন ও মসজিদ সংলগ্ন এরকম বিবেকহীনভাবে মূরগীর খামার স্থাপনায় শিক্ষক মহল, সুশীল সমাজ ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মাদ্রাসার সুপার জানান, মুরগীর খামারিরা স্থানীয় লোক হওয়ায় আমাদের কথায় কোন কর্ণপাত করছেন না। মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জানায়, মুরগীর বিষ্ঠার দূর্গন্ধে আমাদের বমি এসে যায় এবং শ্রেণীকক্ষে পাঠ গ্রহন করতে কষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন বলেন, যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ব্রয়লার মুরগীর খামার স্থাপনা অবৈধ। সরজমিন বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
Leave a Reply