শাহজাহান ফকির: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী বিধবা রহিমা খাতুন (৬৫)কে নিজ সন্তান বাবুল মিয়া (৪৫) মারধর করে। এছাড়া বিধবা রহিমা খাতুনকে বাচাঁতে গেলে প্রতিবেশী সোহাগ হাসান ও মাসুদ মিয়াকে বাবুল মারধর করে গুরুতর আহত করে।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ঈদের দিন প্রতিবেশীর দেওয়া কোরবানির বিতরণের গোশত বিধবা রহিমা খাতুন ঘরে নেওয়ায় নিজ সন্তান বাবুল মিয়া তাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ সহ মারধর করে। মাকে মারধরের বিষয়টি প্রতিবেশী মো. আঃ রাশিদের পুত্র সোহাগ হাসান ও মাসুদ মিয়া দেখতে পেয়ে ফিরাতে গেলে বাবুল মিয়া পূর্বশত্রুতার জেরবশত তাদেরকে বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করে। এতে মাসুদ মিয়ার কাধে রামদা কোপের আঘাতে মারাত্মক জখম হয়।
জানাযায়, দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবেশী মাসুদ ও সোহাগের পরিবারের সাথে পূর্বশত্রুতা চলে আসছিল। আহত মাসুদ ও হাসানকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আঃ রাশিদ এলাকার ব্যাক্তিবর্গ সহ বাবুলের বিধবা মা রহিমা খাতুন ও তার তিন বোন এবং বোনের জামাই সহ নান্দাইল মডেল থানায় আঃ রাশিদ বাদী হয়ে ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার মো. বাবুল মিয়া, এনামুল হক, গোলাম হোসেন, জুয়েল মিয়া, আব্দুল আলী ও লাদেনের নাম উল্লেখ করে পেনাল কোড ১৮৬০এর ১৪৩/ ৩২৩/ ৩৮০/৩২৬/৩০৭/৫০৬/১১৪/৩৪ ধারায় মামলা নং ২৯ দায়ের করে।
উক্ত মামলার বাদী আঃ রাশিদ জানান, নিজ মাকে প্রহৃত ছেলে বাবুল মিয়া এলাকার একজন জুয়াবাজ ও খারাপ প্রকৃতির লোক। তার মাকে বিভিন্ন সময় মারধর করে থাকে। বিধবা রহিমা খাতুন ও তার তিন মেয়ে অভিযুক্ত বাবুল মিয়ার বিচার চান।
Leave a Reply