সংগৃহীত
জিএসএন ডেক্স: সিলেটের জকিগঞ্জের উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনিন সুলতানা শনিবার চার প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। এ চার বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে একটিতেও প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতি পাননি।
বিদ্যালয়গুলো হলো- পূর্বজামডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পীরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঈদগাহ বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে ভরণ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনিন সুলতানা বলেন, চারটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করে একটিতেও প্রধান শিক্ষককে হাজির পাওয়া যায়নি।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে অনুপস্থিতির কারণে মানিকগঞ্জের সাতটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন ও ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক ইন্দ্র ভূষণ দেব মানিকগঞ্জের ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। এর মধ্যে ছুটি ছাড়াই সাতটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অনুপস্থিত পাওয়া যায়। এরপর মানিকগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তলব করে জরুরি ভিত্তিতে ওই প্রধান শিক্ষকদের বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওই সাত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের বহিষ্কার করে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
বহিষ্কার হওয়া প্রধান শিক্ষকরা হলেন- ডুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিদুর রহমান, সুতালডী রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোখলেছইন আহমেদ, হরিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শুভ্র সাহা, হারুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মনি মিয়া, পূর্ব আজিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্মৃতি চৌধুরী, এনায়েতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরমান আলী ও সুতালডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা ফারজানা।
মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, এই সাত শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।