মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প:প: কর্মকর্তার  বিদায়ী সংবর্ধনা ও নবাগত কর্মকর্তা ডা:মেহেরুবা পান্নার বরণ অনুষ্ঠিত ফেইসবুক লাইভে সার্টিফিকেট পোড়ানো মুক্তাকে চাকরি দিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সংঘাতে নয়, বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী : প্রধানমন্ত্রী নান্দাইলে মরহুম আব্দুল জলিল মানবকল্যান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিনামুল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরন নান্দাইলে বাল্যবিয়ের ১০ দিনের মাথায় ‘অভিমানে স্বামীর’ আত্মহত্যা গোপালগঞ্জে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী আটক গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন হরিরামপুরে আন্ধারমানিক মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার জার্সি উন্মোচন হরিরামপুরে নারীকাটি এলাকায় বহিরাগত এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

বাঁশখালীতে তরুণকে অপহরণ করলেন তরুণী

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০১৯
  • ১০৭ Time View
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

জিএসএন ডেক্স: 

বাঁশখালীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে বিয়ে করতে অপহরণ করেছিলেন এক তরুণী গার্মেন্টস কর্মী। এর চার মাস পর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ নামে ওই ছাত্র পালিয়ে আসলেও তার পরিবারকে নানামুখি হুমকি-ধমকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে।

ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালে। এ ঘটনায় শহীদুল্লাহর বাবা বাদি হয়ে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ১ মামলা দায়ের করেন।  আদালতের নির্দেশে গত ৩০ জুলাই মঙ্গলবার বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্তে নেমেছেন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৫ মে বিয়ের করার জন্য শহীদুল্লাহকে অপহরণ করে নাসিমা আক্তার নামে এক তরুণী। সে সময় শহীদুল্লাহ বাঁশখালীর প্রেমাশিয়া রিজিভিয়া সিদ্দিকিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় এ গ্রেডে পাশ করেছিল। বর্তমানে সে জরিনা মফজল সিটি কর্পোরেশন কলেজের মানবিক বিভাগের বাঁশখালী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

মামলার বাদি ও অপহৃত ছাত্রটির বাবা ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন জানান, তারা বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের রায়ছটা গ্রামে বসবাস করেন। ২০১৭ সালে তাদের প্রদিবেশী ছিলেন আয়শা আক্তার নামে এক গার্মেন্টস কর্মী।

মে মাসে তার সহকর্মী ও লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের পূর্ব বাগমুড়া গ্রামের ছালেহ আহমদের মেয়ে নাসিমা আক্তার বেড়াতে আসেন।

২৫ মে বেড়াতে এসে তার ছেলে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে কৌশলে অপহরণ করে চট্টগ্রামের আকমল আলী রোড এলাকায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কয়েকদফা আমার ছেলেকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাবার সময় কর্ণফুলী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকা থেকে মাইক্রোসহ অপহরণকারীদের কবল থেকে আমার ছেলেকে ওই বছরের জুনের ২ তারিখ উদ্ধার করে।

জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পর ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ২০ তারিখ কৌশলে আমার বাড়ি থেকে আবার অপহরণ করে নাসিমা। ওই অপহরণের সময় আরও বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ তার সঙ্গে ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ছেলেকে না পেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ১ এ মামলা দায়ের করি। এর পর থেকে বেশ কয়েকবার মোবাইলে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিতে থাকে নাসিমা।

তার পরিবার মোবাইলে আমাকে জানায়, আমার ছেলেকে নাসিমার সাথে বিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমার ছেলেকে খুন করা হবে। অনেক চেষ্টা করেও ছেলেক উদ্ধার করতে ব্যর্থ হই। এর ৪ মাস পর অপহরণ চক্রের কবল থেকে পালিয়ে আমার ছেলে বাড়ি ফিরে আসে।

বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতে নির্দেশে তদন্তের জন্য আমি গত মঙ্গলবার ৩০ জুলাই আমার অফিসে উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে ডেকেছিলাম।

তদন্তের শুনানিতে বাদি পক্ষ আসলেও বিবাদী পক্ষ আসেনি। ছাত্রটিও দেখা গেছে নাবালক। বিষয়টি খুবই জটিল। তাই আবারও বিবাদী পক্ষকে নোটিশ দিয়ে ডাকা হবে। পরে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Spread the love
  •  
  •  
  •  

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
raytahost-gsnnews