সংগৃহীত ছবি
জিএসএন ডেক্স: ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশ সমিতির নির্বাচন। ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনকে ঘিরে পুরো চলচ্চিত্র অঙ্গন ছিল উৎসব মুখর।
সকাল থেকেই শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বিকেল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এখন চলছে ভোট গণনা। ফলের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন প্রযোজকেরা।
ঢাকাই সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ এই সংগঠনটি দীর্ঘ সাত বছর ধরে নানা জটিলতায় সময় কাটিয়েছে। ছিল না কোনো কার্যক্রম বা কমিটি। সিনেমা প্রযোজনা থেকেও দূরে রয়েছেন বেশির ভাগ প্রযোজক। এদিকে দীর্ঘ সাত বছর পর প্রযোজকদের এই নির্বাচনকে ঘিরে অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছেন। স্থবিরতা কাটার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে।
গত ১৭ জুন থেকে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের কাজ শুরু হয়, শেষ হয় ২০ জুন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২৭ জুন। এরপর ঘোষণা করা হয় প্রার্থীদের তালিকা।
কোনো রকম প্যানেল ছাড়াই নির্বাচনে অংশ নেন প্রার্থীরা। দুটি ভাগে অনুষ্ঠিত হবে প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির নির্বাচন। প্রথম ধাপে ১৯ জন কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হবেন। প্রথম ধাপের ভোট আজ হয়ে গেল। আজ যারা নির্বাচিত হবেন তারা পরবর্তী সময়ে সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্বাচন করবেন।
এর আগে ২০১৬ সালে প্রযোজক সমিতির নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রযোজক নাসির হোসেনের করা রিটের কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। সে সময় পরপর তিনবার কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না- এফবিসিসিআইর অধীন সংগঠনের এমন নির্বাচনী রীতির খেলাপ করা হয়েছে মর্মে নাসির হোসেন বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তিন মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেছিল। কিন্তু তারপরও নানা ঝামেলায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগোয়নি। অবশেষে সকল জটিলতা কাটিয়ে আজ (২৭ জুলাই) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।