স্টাফ রিপোর্ট: ময়মনসিংহের নান্দাইলে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের কোটি টাকা ফেরত যাবার পর এবার প্রতিবন্ধিবান্ধব টয়লেটের ৮০হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত যায়। জানাযায়, নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালে প্রতিবন্ধিদের জন্য টয়লেট তৈরীর টাকা ভাগা-ভাগির মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় বরাদ্দের সাকুল্য টাকা ফেরত চলে যায়। এঘটনায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউএইচএ), ক্যাশিয়ার ও মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) একে অন্যকে দোষারোপ করছেন। জানা গেছে, প্রকল্পটি ময়মনসিংহের ১২টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলা ও নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য বরাদ্দ ছিল। প্রকল্পের লাইন ডিরেক্টর ডা: নূর মোহাম্মদের গত ১৬ মে স্বাক্ষরিত চিঠি সূত্রে জানাযায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি টয়লেটকে প্রতিবন্ধিবান্ধব হিসেবে তৈরি বা সংস্কারের জন্য ৮০হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠির সঙ্গে প্রকল্পের (টয়লেটের) একটি নকশাও দেওয়া হয়। কাজ শেষে কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাঠিয়ে ব্যয়িত অর্থ পরিশোধের জন্য চিঠি পাঠাতে বলা হয়। উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানায়, টয়লেট নিমার্ণ সংক্রান্ত কোন বিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে পাঠানো হয়নি। কমপ্লেক্স সূত্রে জানাযায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে কর্তৃত্বের বিরোধের কারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত গেছে। এবিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাশিয়ার আমলগীর বলেন, “প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সময় পাওয়া যায়নি। তাছাড়া প্রকল্পটি তদবির করে এনেছেন বলে দাবী করছেন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) আব্দুর রাশিদ। তাঁর হাতেই বরাদ্দের চিঠিটি ছিল। তিনি কেন সময়মতো হিসাব রক্ষণ অফিসে বিল দাখিল করেননি, তা আমার জানা নেই। অন্যদিকে আব্দুর রাশিদ বলেন, আমি বরাদ্দের চিঠি পেয়ে তাৎক্ষনিক ক্যাশিয়ারের কাছে হস্তান্তর করেছি। তিনি কেন টাকা উত্তোলন করেননি, তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এব্যাপারে নান্দাইল স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজী এনামুল হকের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কিছু না বলাই ভালো। উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা কমিটির সদস্য মোঃ এনামুল হক বাবুল জানান, সেবা কমিটির আগামী সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব এবং টাকা ফেরত যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক বলে তিনি জানান।