রফিক আহম্মেদ মিঠু, দৈনিক যুগান্তরের ফুলবাড়িয়া উপজেলা প্রতিনিধি। একজন সিনিয়র সাংবাদিক। দৈনিক জাহান পত্রিকার সাথে ৯০দশক থেকে কর্মরত। দৈনিক জাহান থেকেই তাঁর সাথে আমার গভীর হৃদয়ের সম্পর্ক। একজন সজ্জন ভদ্রলোক হিসাবে তাকে আমি জানি। গত বৎসর তাঁর স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। এর পর থেকে তিনি কিছুটা মনমরা অবস্থায় আছেন। দৈনিক যুগান্তরের সাথে ২০বছরের পথ চলা। গতকাল ৮ই আগস্ট/২০১৯ রাত প্রায় ১২টার দিকে আমাকে ফোন করেন। প্রথমে বলেন বাবুল ভাই কেমন আছেন। যুগান্তরের বেতন বোনাস পেয়েছেন। আমি বললাম পেয়েছি। আপনার সন্তানেরা বাড়িতে এসেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। পরে যা বললেন তা শুনে আমার চোখে পানি আসে। অনেকক্ষন কথা বলতে পারি নাই। আমার সন্তানেরা বললেন আব্বা কি হয়েছে। কাদঁছেন কেন ? কেন কাদঁলাম এই কথাটা অনেক বার বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আবেগের কারণে বলতে পারি নাই। পরে কাগজে লিখে আমার স্ত্রী সন্তানকে পড়তে বলি। মিঠু ভাই আমাকে বলেছেন “বাবুল ভাই আপনি আমার খুব কাছের মানুষ। আমার শরীরটা বেশী ভাল নেই। আমি মৃত্যুবরণ করলে আপনি যেন আমার জানাযায় শরীক হন”। এই কথা শুনে আমি আর কথা বলতে পারি নাই। আমাদের ময়মনসিংহ অঞ্চলের অনেক সিনিয়র সাংবাদিক বিদায় নিয়েছেন। দৈনিক জাহানের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান শেখ, ঈশ্বরগঞ্জের মনসুর আহম্মেদ আকন্দ, গৌরিপুরের সুরেশ কৌরী, আবদুর রহমান, ময়মনসিংহের মোঃ জিল্লুর রহমান, বাদল আচার্য্য, মেজবাহ উদ্দিন হেলাল, সুলতান উদ্দিন খান, নান্দাইলের মোশারফ হোসেন আকন্দ, মুক্তাগাছার মোশারফ হোসেন, গফরগাওয়ের ডাক্তার সাহাজ উদ্দিন প্রমুখ। মহান স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সাংবাদিক গৌরিপুরের কাজী আবদুল মোনায়েম, ম.নূরুল ইসলাম নূরু, ফুলপুরের আবুল কাশেম (তারাকান্দা), নূরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির মুকুল, ভালুকার মোল্লা জালাল উদ্দিন (বর্তমান বিএফইউজে’র সভাপতি), ত্রিশালের মীর্জা মমতাজ, মুক্তাগাছার এ.এফ.এম সালাম. মনোনেশ, ধোবাউরার মতি লাল, হালুয়াঘাটের বাবুল হোসেন, ঈশ্বরগঞ্জের আবুল কালাম আজাদ, নান্দাইলের ফকির হাবিবুর রহমান, ফুলবাড়িয়ার মোঃ শামছুল আলম খান, কটিয়াদির ব্রজ গোপাল বণিক, কিশোরগঞ্জের বাবু সুবীর বসাক, করিমগঞ্জের এটিএম নিজাম, ময়মনসিংহ জেলা সদরের আতউল করিম খোকন, জগদীস চন্দ্র সরকার, প্রণব রাউত, জিয়া উদ্দিন আহাম্মেদ, কাজী ইয়াসিন, এ এইচ এম মোতালেব প্রমুখ। শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিগণ আজও জীবিত আছেন। কার কখন পরপারের ডাক আসে বলা যায় না। ময়মনসিংহ জেলায় অনেক নতুন নতুন সাংবাদিক হয়েছেন। আরও হবেন। নতুনরা এগিয়ে যাবে। এখন আর আগের সাংবাদিকতা নেই। এখন ডিজিটাল সাংবাদিকতা। যাক মিঠু ভাই ভালো থাকেন। আপনি আমাদের মাঝে আরও অনেক দিন বেঁচে থাকেন। এই দোয়া করি। সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। এটাই চিরন্তন সত্য। আল্লাহ পাক সবাইকে ভাল রাখুক। আমিন
Leave a Reply