1. admin@www.gsnnews24.com : admin : সাহিত্য বিভাগ
শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নান্দাইল আসনে ৬জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল মানিকগঞ্জ ২ আসন থেকে টানা তৃতীয় বারের মতো মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন মমতাজ বেগম ঈশ্বরগঞ্জে বালুবোঝাই ট্রাকচাপায় ২ পথচারী নিহত নান্দাইলে ধানবীজ বিতরণে অনিয়ম, মেম্বার একাই করলেন বিশজন কৃষকের স্বাক্ষর ইসি বিধিভঙ্গের অভিযোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ও সাকিবকে শোকজ তালিকায় আসেনি অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের নাম, উফশী প্রনোদনার বীজধান ও সার প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন নামধারী কৃষকরা বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় পুরো বিশ্ব: ইইউ রাষ্ট্রদূত নান্দাইলে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে অটোরিকসা হারালেন চালক হৃদয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কি আওয়ামী লীগে কোন্দল বাড়াবেন? মদনপুর শাহ সুলতানের মাজারে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে অসীম উকিলের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

বর্তমানে খেলাপি ঋণ কমেছে : অর্থমন্ত্রী

  • Update Time : সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৯
  • ১৫৩ Time View

ফাইল ছবি

জিএসএন ডেক্স: খেলাপি ঋণ কমেছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ অবশ্যই কমেছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের জুনে অধিকাংশ ব্যাংকে খেলাপি ঋণ কমে এসেছে।

সোমবার (২২ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গেল ডিজিট সুদহার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো কার্যকর করেছে। যারা ব্যাংক থেকে অন্যায়ভাবে টাকা নিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। দায়িত্ব নেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, আর খেলাপি ঋণ বাড়বে না। কিন্তু আপনারা (সাংবাদিক) বিভিন্ন পত্রিকায় লিখেছেন যে বেড়েছে। তবে আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে অনুযায়ী বাড়েনি।

বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৩০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা মার্চে ২৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ; জনতা ব্যাংকে অনেক বেড়ে গেছে সেখানে ছিল ৩৭ দশমিক ৩২ শতাংশ, সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অগ্রণী ব্যাংকে ছিল ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ, এটি কমে মার্চে হয়েছে ১৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। রূপালী ব্যাংকে ছিল ১৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, সেটি হয়েছে ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, সামান্য একটু বেড়েছে, বেসিক ব্যাংক ৫৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা মার্চে একই অবস্থায় আছে। বিডিবিএল ৫৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ, তা এখন ৫৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, একটু কমেছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ছিল ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ, রাকাব ছিল ২৩ দশমিক ১৬ শতাংশ এগুলোর সর্বশেষ ফিগার পাইনি, তবে এ দুই ব্যাংক বলেছে খেলাপি ঋণ বাড়েনি।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, জুন নাগাদ সোনালী ব্যাংক ২৫ শতাংশে এসেছে, জনতা বাংক ৩৫ শতাংশে, অগ্রণী ব্যাংকেরও কমেছে ১৪ শতাংশ এবং রূপালী ব্যাংক ১৭ শতাংশে এসেছে। তবে বেসিক ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকে একই ফিগার রয়েছে।

তিনি বলেন, এসব তথ্য বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায় যে, খেলাপি ঋণ কমে আসছে। খেলাপি ঋণ থেকে এক্সিটের জন্য যে সুযোগ দিয়েছি সেটা বাস্তবায়ন হলে আরও কমে যাবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংক ঋণে সুদহার আমরা সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসবো। সিঙ্গেল ডিজিটে সুদ না হলে খেলাপি ঋণ বাড়ে। এতে ব্যাংক ও ঋণগ্রহীতা উভয়ই ক্ষতিতে পরে। যদি ৯ শতাংশ সুদও হয় সেটাও পৃথিবীর প্রায় সব দেশের উপরে। ১৪, ১৫, ১৬ শতাংশ সুদ দিয়ে… আবার আমাদের দেশে সুদহার হিসাব করার সময় চক্রাকারে হিসাব করা হয়। এটা সিম্পল রেটে হিসাব করা হয় না।’

মুস্তফা কামাল বলেন, সকালে ১০০ টাকা ছিল, বিকেলে ১০ শতাংশ সুদ যোগ করে হিসাব করে। পরের দিন আবার একটু বাড়ে। কেউ তিন মাস পরপর এটা হিসাব করে, কেউ ছয় মাস পরপর হিসাব করে। এটা কিন্তু ঠিক নয়। ১০ শতাংশ সুদ এক বছরের জন্যই সিম্পল সুদ হওয়ার কথা।

ব্যাংকারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের অনুরোধ করছি, প্রজ্ঞাপন দেন আর না দেন এটা আপনারা বাস্তবায়ন করবেন। এতে ব্যাংক ও ঋণগ্রহীতা উভয়ই লাভবান হবেন। টাকাটা আছে কিন্তু জীবনেও পেলাম না -এটা ভালো না। সুতরাং যেটা দেশের অর্থনীতিতে ভালো হয় সেটাই ভালো।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ত্রুটি করে কেউ যদি বলে আমরা ভুল করেছি এখন ঋণ পরিশোধ করবো, সেটা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু যারা অন্যায়ভাবে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে গেছে কিংবা টাকা নিয়ে দেশেই বালিশের নিচে রেখে দিয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে অন্যায়ের কারণে বর্তমানে অনেকেই জেলে রয়েছে। জনতা, ফার্মাসসহ অন্যান্য ব্যাংকের অনেকেই জেলে রয়েছে। শুধু এমডি বা চেয়ারম্যানই নন, পরিবারসহ জেলে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা কাউকে ছাড় দেব না। আজকে ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে একটা অ্যাসেসমেন্ট করলাম। এতে দেখলাম আমরা সেভ, এমনিভাবে প্রতি তিন মাস পরপর আমরা বসবো।

সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যাংকের এমডি, চেয়ারম্যানরা কি আপনাকে আশ্বস্ত করেছে? জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে অনেক ব্যাংক এটি কার্যকর করেছে। দু-একটি বাকি আছে, তারাও করবে। সরকারি ব্যাংক শতভাগ এটি বাস্তবায়ন করেছে।

বেসরকারি ব্যাংকগুলো কবে নাগাদ এটি বাস্তবায়ন করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গেও আমরা বসবো।’

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালের মার্চ মাস শেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএল) ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩২ দশমকি ২০ শতাংশ। এ সময় ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণ ঋণ ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ছিল ৪৮ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা।

মার্চ শেষে বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আলোচিত সময়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে সাত লাখ পাঁচ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৯ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকাই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

এছাড়া বিদেশি ৯ ব্যাংক ঋণ বিতরণ করেছে ৩৬ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ দুই হাজার ২৫৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

সূত্র: জাগো

Spread the love

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
Theme Customized By BreakingNews