স্টাফ রিপোর্ট: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় বিকাশের এসআর পরিচয়ে বিকাশ এজেন্টের নিকট থেকে নিমিষেই হাতিয়ে নেয় ১ লাখ ৮ হাজার টাকা। এতে করে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। জানাযায়,নান্দাইল পৌরসদরের গার্লস্কুল মার্কেটে ফার্মেসী ও লোড বিকাশের ব্যবসায়ী মোঃ ফজলুল হক আকন্দের কাছে এসআরের ফোন থেকে ফোন আসে এবং কিছু নির্দেশনা প্রদান করে নির্দেশনায় কাজ করার সাথে সাথে তাঁর ৫টি সীম থেকে নিমিষেই ১ লাখ ৭ হাজার ২শ ৮৩ টাকা গায়েব হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২৫ মিঃ বিকাশের এজেন্টকর্মী (এসআর/বিটুবিডিএসও)মোঃ নাজিম উদ্দীনের মোবাইল নম্বর- ০১৯৫৫৫৩৮৬৩৪সহ কয়েকটি নাম্বার থেকে ফোনে তাঁকে কিছু নির্দেশাবলী প্রদান করলে সে অনুযায়ী তিনি কাজ করেন যেহেতু পরিচিত এসআরের নাম্বার তাই তিনি বিশ্বাস করেই পরে আরেকটি নাম্বার থেকে ফোন করলে আমার কাছে একটি মেসেজ পাঠায় সেই মেসেজে কিছু কোড পাঠায় এবং কোডগুলো পাঠাতে বলে,পাঠালে এরপর দেখি আমার পাঁচটি সীমে থাকা ১ লাখ ৭হাজার ২শ ৮৪ টাকাই উদাও হয়ে যায়।এর কিছুণ পরেই ময়মনসিংহ আছিয়া টেলিকমের প্রতিনিধি নাজিম উদ্দীন তাঁর দোকানে আসেন। বিষয়টি জানতে চাইলে, এসআর নাজিম উদ্দীন কিছুই জানেন না বলে জানান।সেই সঙ্গে টাকা উদাওয়ের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে সাফ অস্বীকার করেন। খবর পেয়ে নান্দাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে এসআর ও ব্যবসায়ীকে থানায় নিয়ে যান।পরে দুজনের মাঝে বুঝাপড়ায় নাজিম উদ্দীন ছাড়া পান।পরের দিন রাতে এবিষয়ে বিকাশ এজেন্ট মোঃ ফজলুল হক আকন্দ নিজেই নান্দাইল মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রী রুজু করেন,নান্দাইল মডেল থানা জিডি নং ৮৪৭তাং ১৯/৭/১৯। একই ধরনে ঘটনা মুসুলি ইউনিয়নের চপই বাজারে বিকাশ এজেন্ট রবিন মিয়ার সাথেও ঘটে।তাঁর কাছ থেকেও একই কায়দায় প্রায় লাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারণার মাধ্যমে। এছাড়া নান্দাইল বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের কাছে একই নাম্বারে কল আসছে প্রতারণার খপ্পরে ফেলতে।ফলে নান্দাইল উপজেলার বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের মাঝে একধরনের আতংক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।নান্দাইল থানার ওসি মনসুর আহম্মেদ ঘটনার সততা নিশ্চিত করে বলেছেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি।এবিষয়টি গোয়েন্দা বিভাগ(ডিবি)কে জানানো হয়েছে।তারা মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে বিষয়টি উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
Leave a Reply