নিজস্ব প্রতিবেদক : ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নিবৃত্ত গ্রাম এলাকায় প্রতিষ্ঠিত খোর্শেদ এলিনর উচ্চ বিদ্যালয় ও ৬৭নং চংভাদেরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা পর্যবেক্ষন করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ এনামুল হক বাবুল। বেলা ২ ঘটিকায় খোর্শেদ এলিনর উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌছে শ্রেণী কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি অত্র বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটি কাসে শ্রেণী কার্যক্রম চলমান দেখতে পান।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুনকে সাথে নিয়ে প্রতিটি শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি বিশেষ করে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ের ড্রেস পরিহিত অবস্থায় পাওয়া যায়। ছাত্রছাত্রীদের সাথে সামাজিক বিষয়, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার, ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সাধারন জ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে ছাত্রছাত্রীদের উত্তর ৫০% পাওয়া যায়। বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে ২০১৪ইং সন থেকে। বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আবেদীন খাঁন তুহিনের মাধ্যমে অত্র বিদ্যালয়ে একটি ভবন, ৫০% বাউন্ডারী ওয়াল ও একটি স্ট্রিট সৌর বিদ্যুৎ লাইট প্রদান করা হয়েছে। তবে স্ট্রিট লাইটটি বর্তমানে অকেজো রয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক জানান। বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী ওয়ালের বাকী অংশ নির্মাণ সহ একটি শহীদ মিনার প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৩০৯জন তন্মধ্যে ৮৫% উপস্থিতি দেখা যায়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ভূইয়া কাঞ্চন এসময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। সাথে ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ফজলুর রহমান, ইদ্রিস আলী ভুইয়া, মানিকুল ইসলাম ভূইয়া, পারভেজ উদ্দিন বকুল, আব্দুল করিম দুলাল। প্রবাসী মরহুম খোর্শেদ উদ্দিন ভূইয়া এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা। তিনি নিজ অর্থে জমি ক্রয় সহ একটি দ্বিতল ভবন করে দিয়েছিলেন। গ্রামীণ পরিবেশে বিদ্যালয়টির পরিবেশ খবুই সুন্দর।
অপর দিকে ৬৭নং চংভাদেরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
ফেরার পথে রাস্তার পার্শ্বে ৬৭নং চংভাদেরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যবেক্ষন কার্যক্রম চালানো হয়। বিকাল ৪.১০ মিনিটে ছাত্রছাত্রীদের দল বেধে বাড়িতে যেতে দেখা যায়। ৬ জন শিক্ষকের মাঝে ১ জন শিক্ষিকা করিমুন্নেছা মাতৃত্বজনীত ছুটিতে আছেন। বাকী ৫ জনকে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়। তাদের সাথে কথা বলে বিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে জানাযায়, অত্র বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৩১ জন।
বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যাওয়ায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। রাস্তায় প্রতিটি ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ড্রেস সহ দেখা গেছে। সরকারী উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে বিদ্যালয়টিকে লাল-সবুজে রাঙ্গানো হয়েছে। এছাড়াও ক্ষুদ্র মেরামত করা হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছে। বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সহ সর্বপরি গ্রামীণ সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির মান, পাঠদান কার্যক্রম সন্তোষজনক।
আমাদের এই শিক্ষা পর্যবেক্ষন সারা নান্দাইলে অব্যাহত থাকবে। যেকোন দিন যেকোন বিদ্যালয়ে আমরা হাজির হবো। এসময় আমার সাথে ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মো. এবি সিদ্দিক খসরু ও সাংবাদিক শাহজাহান ফকির।
Leave a Reply