1. admin@www.gsnnews24.com : admin : সাহিত্য বিভাগ
সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:০৪ অপরাহ্ন

বাঁশখালীতে তরুণকে অপহরণ করলেন তরুণী

  • Update Time : বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০১৯
  • ১২৯ Time View
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

জিএসএন ডেক্স: 

বাঁশখালীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে বিয়ে করতে অপহরণ করেছিলেন এক তরুণী গার্মেন্টস কর্মী। এর চার মাস পর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ নামে ওই ছাত্র পালিয়ে আসলেও তার পরিবারকে নানামুখি হুমকি-ধমকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে।

ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালে। এ ঘটনায় শহীদুল্লাহর বাবা বাদি হয়ে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ১ মামলা দায়ের করেন।  আদালতের নির্দেশে গত ৩০ জুলাই মঙ্গলবার বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্তে নেমেছেন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৫ মে বিয়ের করার জন্য শহীদুল্লাহকে অপহরণ করে নাসিমা আক্তার নামে এক তরুণী। সে সময় শহীদুল্লাহ বাঁশখালীর প্রেমাশিয়া রিজিভিয়া সিদ্দিকিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় এ গ্রেডে পাশ করেছিল। বর্তমানে সে জরিনা মফজল সিটি কর্পোরেশন কলেজের মানবিক বিভাগের বাঁশখালী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

মামলার বাদি ও অপহৃত ছাত্রটির বাবা ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন জানান, তারা বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের রায়ছটা গ্রামে বসবাস করেন। ২০১৭ সালে তাদের প্রদিবেশী ছিলেন আয়শা আক্তার নামে এক গার্মেন্টস কর্মী।

মে মাসে তার সহকর্মী ও লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের পূর্ব বাগমুড়া গ্রামের ছালেহ আহমদের মেয়ে নাসিমা আক্তার বেড়াতে আসেন।

২৫ মে বেড়াতে এসে তার ছেলে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে কৌশলে অপহরণ করে চট্টগ্রামের আকমল আলী রোড এলাকায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কয়েকদফা আমার ছেলেকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাবার সময় কর্ণফুলী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকা থেকে মাইক্রোসহ অপহরণকারীদের কবল থেকে আমার ছেলেকে ওই বছরের জুনের ২ তারিখ উদ্ধার করে।

জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পর ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ২০ তারিখ কৌশলে আমার বাড়ি থেকে আবার অপহরণ করে নাসিমা। ওই অপহরণের সময় আরও বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ তার সঙ্গে ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ছেলেকে না পেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ১ এ মামলা দায়ের করি। এর পর থেকে বেশ কয়েকবার মোবাইলে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিতে থাকে নাসিমা।

তার পরিবার মোবাইলে আমাকে জানায়, আমার ছেলেকে নাসিমার সাথে বিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমার ছেলেকে খুন করা হবে। অনেক চেষ্টা করেও ছেলেক উদ্ধার করতে ব্যর্থ হই। এর ৪ মাস পর অপহরণ চক্রের কবল থেকে পালিয়ে আমার ছেলে বাড়ি ফিরে আসে।

বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতে নির্দেশে তদন্তের জন্য আমি গত মঙ্গলবার ৩০ জুলাই আমার অফিসে উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে ডেকেছিলাম।

তদন্তের শুনানিতে বাদি পক্ষ আসলেও বিবাদী পক্ষ আসেনি। ছাত্রটিও দেখা গেছে নাবালক। বিষয়টি খুবই জটিল। তাই আবারও বিবাদী পক্ষকে নোটিশ দিয়ে ডাকা হবে। পরে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করা হবে।

Spread the love

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
Theme Customized By BreakingNews