ছবি সংগৃহীত
জিএসএন ডেস্ক:
পাবনার সদর উপজেলার হেমায়েতপুরে ২২ দিন বয়সী এক কন্যা শিশুকে বিক্রির চেষ্টাকালে হাতে নাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই শিশুসহ চারজনকে আটক করে বুধবার বিকেলে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ জানায়, হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কিসমত প্রতাপপুর গ্রামের হেলাল মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। গত শনিবার ঢাকা থেকে ২২ দিন বয়সী একটি কন্যা শিশুসহ হেলাল মণ্ডল ও তার স্ত্রী আন্নিকে নিয়ে পাবনার কিসমত প্রতাপপুর শ্বশুর বাড়িতে আসে। এরপর থেকে শিশুটিকে তারা বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রির চেষ্টা করছিল।
বুধবার বিকেলে প্রতিবেশী এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রির চেষ্টাকালে স্থানীয়রা আটক করে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশের একটি দল গিয়ে বাচ্চাসহ চারজনকে আটক করে।
হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয়দের খবরে আমরা কিসমত প্রতাপপুরের আব্দুল্লাহর বাড়ি থেকে কন্যা শিশুসহ চারজনকে আটক করেছি । তারা হলেন- হেলাল মণ্ডল (৩৫), হেলালের স্ত্রী আন্নি (৩০), শ্বশুর আব্দুল্লাহ (৬০) এবং শাশুড়ি রুবি (৫২)।
হাবিবুর রহমান জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হেলাল জানিয়েছে ঢাকার উত্তরার শফিকুল ইসলাম নামের এক হতদরিদ্র ব্যক্তির সন্তান এই শিশু। শহরের বিসিক ১নং গেট এলাকায় তাদের এক নিঃসন্তান আত্মীয়ের জন্য তিনদিন আগে শফিকুলের নিকট থেকে পোষ্য হিসেবে প্রতিপালনের জন্য তারা শিশুটিকে নিয়ে আসেন। পাবনায় আনার পর হেলালের সেই আত্মীয় শিশুটিকে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে, শিশুটিকে অন্য কোন নিঃসন্তান দম্পতির কাছে দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুল হক জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হেলাল স্বীকার করেছে সে শিশুটিকে নিজের পরিবারে প্রতিপালনের কথা বলে অন্যত্র বিক্রির চেষ্টা করছিল। হেলালের বক্তব্যের সত্যতা জানতে পাবনা থেকে পুলিশের একটি দল শিশুটির বাবা শফিকুলের খোঁজে ঢাকায় রওনা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে পর্যন্ত শিশুটি পুলিশের হেফাজতে থাকবে।
Leave a Reply