সংগৃহীত ছবি
স্টাফ রিপোর্ট-
কোরবানির পশুর চামড়ার টাকা দুঃস্থ অসহায় গরীব মানুষের মাঝে দান করতে হয় এটাই কোরবানীর বিধান।
নান্দাইল উপজেলায় বিকাল থেকেই মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া নিয়ে দৌড়ঝাপ করতে দেখা গেছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে কোরবানী পশুর চামড়া দাম একেবারেই নেই বললেই চলে।
ময়মনসিংহ জজকোর্টের আইনজীবি নান্দাইল নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা এডভোকেট ইকবাল আকন্দ জানান, তিনি ৮০ হাজার টাকার ষাড় গরুর চামড়া ২০০টাকা বিক্রি করেছেন।শহীদ মিয়া ২০হাজার টাকার খাসির চামড়া ১০ টাকা বিক্রি করেছেন।১লাখ ২০ হাজার টাকার ষাড় গরুর চামড়া ৪০০শ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া কিনে নিয়ে নান্দাইল উপজেলা সদরে চামড়া নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে ক্রেতা মিলছে না। যারা আসছেন, তারাও চামড়ার দাম খুব কম বলছেন। অথচ অন্যান্য সময় কোরবানির পর পরই চামড়া কিনতে ভ্যান নিয়ে হাজির হয়ে যেতেন পশুর মালিকের দোরগোড়ায়। দামও পাওয়া যেতো ভালো।
কুরাটি গ্রামের অাবুল কালাম অাজাদ জানান, তিনি নিজে যে গরুটি কোরবানি দিয়েছেন সেটির দাম আশি হাজার টাকা। এই গরুটির চামড়া তিনি বিক্রি করেছেন ৫’শ টাকায়।
নান্দাইল উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে খবর পাওয়া গেছে মাঝারি সাইজের একটি গরুর চামড়া বিক্রি ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে! অন্যদিকে ছাগলের চামড়ার দাম না থাকায় তা মাদ্রাসার এতিমখানা বিনামূল্যে দিয়ে দিয়েছেন কোরবানীকারিরা। ক্রেতা না পাওয়ায় অনেকেই চামড়া নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন।
অনেককে প্রশ্ন করতে শুনা গেছে বাজার থেকে চামড়াজাত কোনো পণ্য কিনলে অাকাশছোঁয়া দাম।একটি চামড়ার ব্যাল্টের দাম ৫০০টাকা,চামড়ার একজোর জোতার দাম ২/৩ হাজার টাকা হলে চামড়ার পানির দর কেন!
তাছাড়া এবার মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া প্রায় কিনছেনই না আড়তদাররা। যারা কাঁচা চামড়া কিনছেন তাদের বলে দেয়া হচ্ছে, চামড়ায় লবন মাখিয়ে রাখতে। আড়তদারদের বেশিরভাগ কাঁচা চামড়া না কেনায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সম্ভাব্য ঝামেলা এড়াতে চামড়া ব্যবসায় এবার লোকজনও কম নেমেছেন। আড়তদাররা বলছেন চামড়া কেনার জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত মুলধনের অভাব রয়েছে। ট্যানারি মালিকদের কাছে তাদের গত বছরের পাওনা টাকাই বকেয়া রয়েছে।
আর এবার কাঁচা চামড়া কেনার চেয়ে লবনযুক্ত চামড়া কেনার দিকে ঝোঁক বেশি ব্যবসায়ীদের। চামড়া কেনার মতো মুলধনেরও অভাব রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে চামড়ার বাজারে একটি নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
Leave a Reply