জিএসএন ডেস্ক: আধুনিকতার ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে শিশু কিশোরদের মধ্যে আসছে নতুন নতুন খেলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার ও ঘরে ঘরে ভিডিও গেমের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সব ধরনের খেলাধুলা। মহাকালের পাতা থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ খেলা। বই পুস্তকে খেলার নাম দেখলেও বাস্তবে খেলার সুযোগ হয়ে উঠেনি এমন শিশুর সংখ্যা বাড়ছেই। আর হারিয়ে যাওয়া খেলায় যুক্ত হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাবাডি (হাডুডু) খেলার নামও। যা আমাদের দেশের জাতীয় খেলা।
এই হাডুডু খেলাকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের জগজীবনপুর গ্রামবাসী আয়োজন করেছে ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটির।
জগজীবনপুর খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত এ খেলায় অংশ নেয় বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ২২টি দল। প্রত্যেক দলে ছয়জন করে মোট ১২ জন খেলোয়ার। খেলাটি পরিচালনা করেন খেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন ।
কাবাডি (হাডুডু) খেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুখ মেনর।
উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, কাবাডি (হাডুডু) খেলা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি খেলা। যা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আমি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থাকে অনুরোধ জানাই তারা যেন এই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাবাডি (হাডুডু) খেলাটি হারিয়ে যেতে না দেন এবং খুবদ্রুত যেন সুনামগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে বড় করে এই খেলাটির আয়োজন করেন।
খেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, প্রতিটি দেশের একটি জাতীয় খেলা থাকে। আমাদের জাতীয় খেলা হাডুডু বা কাবাডি। কিন্তু কালক্রমে এই খেলার কদর দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। আগে স্কুল ভিত্তিক আন্তঃস্কুল বা থানা কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন চোঁখে পড়ত। বর্তমানে সেটাও চোখে পড়ে না। নতুন প্রজন্মের কাছে কাবাডি খেলাটি অপরিচিত হয়ে উঠছে। বিলুপ্তপ্রায় এই খেলাটি ধরে রাখার জন্যই আমরা প্রতিবছর কাবাডি (হাডুডু) খেলার আয়োজন করা হয়েছে। নতুন প্রজন্ম যাতে এই খেলা সম্পর্কে জানতে পারে এ উদ্যেশ্যেই এই খেলার আয়োজন।
Leave a Reply