ফাইল ছবি
জিএসএন ডেক্স:
স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিলেন প্রায় আড়াই বছর। বিশ্বকাপের পর সুনিল জোশিকে ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে চাকরি হারিয়ে বসে নেই ভারতের সাবেক এই স্পিনার। নিজের দেশেই স্পিন বোলিং কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করে রেখেছেন তিনি।
ভারতীয় দলে অবশ্য স্পেশালিস্ট স্পিন কোচের দরকার পড়ছে না অনেক দিন ধরেই। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে না পারায় বরখাস্ত হন দলটির তখনকার হেড কোচ অনিল কুম্বলে। তিনি আদতে একজন স্পিনার ছিলেন। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে আলাদা কোনো স্পিন বোলিং কোচ রাখেনি ভারত।
তবে জোশি মনে করছেন, প্রত্যেক দলেরই একজন স্পিন কোচের দরকার আছে। বাংলাদেশে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, সেটির নিরিখেই ভারতীয় দলের স্পিন কোচ পদের জন্য আবেদন করেছেন তিনি।
ভারতের স্পিন কোচ হতে আবেদন করা প্রসঙ্গে জোশি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি আবেদন করেছি। বাংলাদেশে প্রায় আড়াই বছর সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছি। পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য আমি প্রস্তুত।’
ভারতীয় দলের এই মুহূর্তে একজন স্পিন কোচ দরকার বলেই মনে করেন জোশি। তার ভাষায়, ‘অনেক দিন ধরে ভারতের স্পেশালিস্ট স্পিন কোচ নেই। আমার অভিজ্ঞতা এখানে বিবেচিত হতে পারে। যদি আপনি বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক দলের কোচিং স্টাফের দিকে তাকান, দেখবেন পেস কিংবা স্পিন কোচ আছে। ভারতেরও একজন দরকার। এটা সময়ের চাহিদা। সেই মানুষটা আমি হই কিংবা অন্য কেউ।’
বাংলাদেশকে কোচিং করানোর আগে রঞ্জি দলের কোচ হওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল জোশির। ৪৯ বছর বয়সী সাবেক এই স্পিনার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে ভারতের জাতীয় দলে খেলেছেন কিংবদন্তি অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে।
ভারতের হয়ে ১৫টি টেস্ট খেলে ৩৫.৮৫ গড়ে ৪১ উইকেট নিয়েছেন জোশি। ওয়ানডেতেও ৩৬.৩৬ গড়ে আছে ৬৯ উইকেট। আর ১৬০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে কর্নাটকের হয়ে ৬১৫টি প্রথম শ্রেণির উইকেট আছে সাবেক এই স্পিনারের।
স্পিন কোচ রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে জোশি আরও বলেন, ‘যদি কোনো দল মনে করে, তাদের স্পিন কোচের দরকার নেই, তবে এটা ভুল মানসিকতা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনি যদি যথেষ্ট পরিণত না হন, হারিয়ে যাবেন। আপনাকে নিজের দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তার উন্নতি রাখতেই হবে।’
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ছিলেন। প্রথমবারের মতো যখন বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়াকে টেস্টে হারায়, সে দলের কোচিং স্টাফের অংশ ছিলেন জোশি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদেরই মাঠে হারানোর সময়ও ছিলেন। তবে জোশি বাংলাদেশে তার সময়টায় আলাদা করে রাখছেন বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সই।
বাংলাদেশের সাবেক স্পিন বোলিং কোচ বলেন, ‘সন্দেহ নেই ২০১৯ বিশ্বকাপটাই ছিল সবচেয়ে বড় সাফল্য। যেভাবে স্পিনাররা বল করেছে এবং সাকিব ব্যাটে-বলে যা করেছে, অবিশ্বাস্য।’
Leave a Reply