
হাফেজ শাহ্ মুহাঃ মিজানুর রহমান তালুকদার হারুন : দাবি ও অভিযোগ থাকতেই পাড়ে, সমস্যা হতেই পাড়ে তাই বলে কি রাষ্ট্রীয় সেবা বন্ধ করে দেওয়ার অধিকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আছে।
দেশ ও জাতির নানান প্রয়োজনে ও আয়োজনে অখ্যাত অবস্থান থেকে আমি বিখ্যাত কথাগুলো যথারীতি বলার চেষ্টাকরি ও বলে যাচ্ছি। কারণ, আমারও মনচায় দেশ ও জাতির কল্যাণে কিছু করতে। কিন্তু কোন রকম সুযোগ সুবিধা নেই বিধায় পারিনা অর্থাৎ আমি অক্ষম।
যেখানে আছি এখান থেকে কিছুদিন দেখব যদি অনুভব হয় কথাগুলো নির্বিকার কোন রকম কাজে আসছেনা তবে জনমের মতো বাদদিব ইনশাআল্লাহ। যাক, এবার যাচ্ছি প্রাসঙ্গিক আলোচনায়।
অন্তর্বর্তী ও নির্বাচিত কোন সরকারি চায়না গণমানুষের ভোগান্তি বাড়ুক এবং দেশে কোন সমস্যার সৃষ্টি হোক। তাহলে সরকারের অধিনস্ত থেকে রাষ্ট্রের চাকুরী করে জনসেবার অঙ্গিকার নিয়ে জনগণের টাকায় যাদের সংসারচলে তারা কিকরে জনগণের বিরোদ্ধে দাঁড়ায়, সরকারকে দেয় আল্টিমেট?
বিষয়টি সরকার ও দেশের জনগণ কিভাবে দেখছে সেটা আমি জানিনা তবে আমি এই কর্মকান্ড মানিনা। এইতো সেদিন ১লা সেপ্টেম্বর কোন এক অজুহাতে জনগণের চাকর রাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারী জাতির জাতীয় সেবক ডাক্তাররা চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে সারাদেশে শার্টডাউন ঘোষণা করে বসে।
যে শার্টডাউন ছিল জাতির জীবন-মরণ সমস্যার কারণ, তাছিল দেশের চিকিৎসা সেবা পূর্ণ বন্ধ করে তাদের দাবি আদায়ের এক মহা অপকৌশল বা মানুষ মারার হিংস্র উদ্যোগ মনে করলেও ভুল হবার কথা নয়। অবশেষে অবস্থা বিবেচনায় সরকার তরিৎ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় ও ২০কোটি মানুষকে শঙ্কা মুক্ত করতে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার অনুরোধে তারা কর্মসূচী স্থগিত করেন।
আর গত ১৭ সেপ্টেম্বর অপর জন কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎখাতে সেইম অরাজকতা প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসি। দেশের অন্যতমও দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান এই বিদ্যুৎ খাত, যারা দেশের ২০কোটি মানুষকে রীতিমতো জিম্মি করে রেখেছে এবং সুষে খাচ্ছে।
খবরে প্রকাশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও আরও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ১৭সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে যায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। দেশের অর্ধেকের বেশি জেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয় তারা।
এমন অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েন পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন কোটি কোচি গ্রাহক। বন্ধহয়েযায় বিদ্যুৎ জনিত সকল শিল্প কারখানা ও ব্যবসা বানিজ্যসহ অসংখ্য জনসেবা কেন্দ্র। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় মোট ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রয়েছে এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সূত্রে জানাযায়, গতকাল দেশের প্রায় ৬০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ার সাথে যুক্ত ছিল।
মূলত এইতুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে এই শাটডাউন ঘোষণাকরে অনেকাংশে তাদের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ফলে দেশব্যাপী উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সৃষ্টিহয়। অন্ধকার নেমে আসে দেশের বৃহৎ অঞ্চলে যা ব্যপক আকার ধারণের মুহূর্তে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সহকারী সচিব মাহফুজ আলমের অনুরোধ ও বিবেচনার আশ্বাসে সরেআসে ও শাটডাউন প্রত্যাহারকরে। পূরো বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখ জনক এবং নীতি বহির্ভূত অমানবিক কাজ বলেই মনেহয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে ও সরকারি চাকুরীজীবীরা রাষ্ট্রের বিদ্যমান কোন আইনের কোন দ্বারায এসব অপকর্ম করার অধিকার পেয়েছে আমি জানিনা।
তবে যদি তাদের এই কর্মকান্ড আইন ও নীতির বাহিরে হয় তবেযেন এরা কোন ক্রমেই ছাড়নাপায়। আগামীদিনে সরকারি কোন দপ্তর, কোন সেক্টর ও সংস্থা যেন এমন ঘটনার পূর্ণজন্ম দিতে না পাড়ে সরকারকে এই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
লেখকঃ হাফেজ শাহ্ মুহাঃ মিজানুর রহমান তালুকদার হারুন
অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট চিন্তাবিদ ও গবেষক।
Leave a Reply