অনলাইন ডেস্ক: আগামীকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। এ সময় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার। এ সময় প্রায় সাড়ে ৪ মিনিট এই অবস্থা বজায় থাকবে।
নাসা বলছে, আগামী ৮ এপ্রিল স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে প্রথম সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্য যখন এক সারিতে চলে আসে এবং পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চাঁদ অবস্থান করে, তখন গ্রহণ হয়। চাঁদের অবস্থান অনুযায়ী গ্রহণের ধরণ নির্ভর করে। চাঁদের ছায়ায় সূর্য পুরোপুরি ঢেকে গেলে তাকে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ বলা হয়। আগামীকালই সেই পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হতে চলেছে।
আগামীকালের সূর্যগ্রহণের বিশেষত্ব হল এর স্থায়িত্ব। এটি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গত ৫০ বছরের মধ্যে এই গ্রহণ হবে সবথেকে দীর্ঘতম।
পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হওয়ার ফলে বেশ কিছুক্ষণ সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণ ঢেকে রাখবে চাঁদ। ফলে যেসব স্থানে দিনের বেলাতে গ্রহণ শুরু হবে সেখানে অন্ধকার থাকবে বেশ কিছুক্ষণ।
সূর্যগ্রহণের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্য দিনের বেলাতেও অন্ধকারে ঢেকে থাকবে। ফলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এইদিন শতাধিক গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং এইসব দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারেন সহস্রাধিক মানুষ। এমনকি এর ফলে বেশকিছু রাজ্যের স্কুলও এরইমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সূর্যগ্রহণটি যে অঞ্চলব্যাপী দৃশ্যমান থাকবে সেখানে প্রায় ৪ কোটি মানুষের বাস, যারা এটি উপভোগ করতে পারবে। ব্রহ্মাণ্ডের এই প্রাকৃতিক ঘটনায় চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চলে আসবে, সেসময় চাঁদের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ২৪০০ কিলোমিটার।
৫৪ বছর পর এমন সূর্যগ্রহণ হওয়ায়, নাসার বিজ্ঞানীরা এই সূর্যগ্রহণকে ‘বিশেষ’ বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগে ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, আবার হতে পারে ২০৭৮ সালে।
নাসা জানিয়েছে, মহাজাগতিক এ দৃশ্য দেখা যাবে আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকো, পশ্চিম ইউরোপ প্যাসিফিক, আটলান্টিক, আর্কটিক, আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে। তবে বাংলাদেশ থেকে এ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না।
Leave a Reply