তারা এলাকায় প্রভাবশীয় হওয়ায় এবং বিগত সময়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের ছত্রছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ উপর্যুপুরি হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকবার নিরীহ পরিবারের লোকজনদের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। ফলে ইতি পূর্বে নান্দাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- ২৬, তারিখ- ২৬/০৮/২০২৩ইং, ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৬/৩০৭ /৫০৬/৩৪ পেনাল কোড। যা ময়মনসিংহ বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও বিগত ২৬/১১/২০২৪ইং তারিখে মৃত হাসেন আলী ফকিরের কন্যা মোমেনা, তাহমিনা উপর অর্তকৃত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। সাম্প্রতি গত মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ২০২৪ তারিখে শাহাব উদ্দিন ফকির ও তার ভাই আফাজ উদ্দিন কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় উল্লেখিত ব্যক্তিরা তাদের দলবল নিয়ে রামদা, দা, লোহার রড়, বাশেঁর লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে জঞ্জিত হয়ে শাহাব উদ্দিন ও আফাজ উদ্দিনকে খুন করার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। পরে জান বাচাঁতে দৌড়ে পালানোর সময় তাদের পিছু তাড়া করে তাদেরকে মারতে না পারায় বাড়িতে এসে তার ছোট বোনদের মারধর করে মারাত্মকভাবে গুরুতর আহত করে এবং বাড়ি ঘরে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বসত ঘরের আসবারপত্র ভাংচুর ও বসতঘরের দু-চালা টিনের ঘরটিতে রামদা, দা, লোহার রড়, বাশেঁর লাঠি দিয়ে বাইরাইয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
এসময় বাড়িতে থাকা শাহাব উদ্দিনের ৯মাসের অন্ত:সত্বা ফাতেমা আক্তার বাধাঁ নিষেধ করিলে হাকিম ফকির তাকেও খুন করার উদ্দেশ্যে দুই হাতে গলায় চাপ দিয়ে ধরে রাখে এবং ফাতেমা আক্তারের তলপেটে স্বজোরে লাথি মারে। এতে মাঠিতে পরে যায় রক্তজমাট জখম হয় এবং চিৎকার করতে থাকে। এছাড়াও আসাদ ফকির তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে তাহমিনাকের মেরে ফেলার জন্য স্বজোরে পেটে বারিমারে। তখন বারি খেয়ে মাঠিতে পড়ে গেলে হাকিম ফকির, জামাল উদ্দিন তাহমিনার গলা ও মুখ চেপে ধরে রাখে এবং কামাল উদ্দিন গংরা হাতে থাকা লোহার রড, লাঠি সহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাইরাইয়ে মোমেনা ও তার অন্য বোনের শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর জখম করে। এসময় তাদের ডাক চিকিৎকারে এলাকার লোকজন আসলে কামাল উদ্দিন ফকির, আসাদ ফকির গংরা চলে যান। এবিষয়ে শাহাব উদ্দিন ফকির বাদী হয়ে ২৬জনের নাম উল্লেখ করে নান্দাইল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ আহম্মেদ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply