1. admin@www.gsnnews24.com : admin : সাহিত্য বিভাগ
বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নান্দাইলের চরবেতাগৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন নান্দাইলের পল্লীতে বাশেঁর ঝাড় কেটে নেবার অভিযোগ শায়েস্তাগঞ্জ সরকারি খাস জায়গায় একাধিক গাছ কর্তন করার অভিযোগে পুলিশ বন্ধ করেদিলেন হরিরামপুরে ইছামতি নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা হরিরামপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে বক্তব্য নান্দাইলে গ্যাস সিলিন্ডার গোদামে আগুন ॥ ২টি ঘর, দোকান সহ ৪রুমের গোদামঘর পুড়ে ছাই দ্রব্যমূল নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য ও কৃষি উপদেষ্টাকে লিগ্যাল নোটিশ প্রত্যাশা মতো দল সাজাতে পেরে উচ্ছ্বসিত নায়ক শাকিব খান মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন মঙ্গলবার চালু হচ্ছে

জাতীয়

শিরোনাম

নান্দাইলে চপই দাখিল মাদরাসা : এক বছর অনুপস্থিত শিক্ষক জাল স্বাক্ষরে তোলেন বেতন

  • Update Time : শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪৫ Time View

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : যোগদানের পরই কোনো পাঠদান না করিয়ে চলে গেছে প্রায় ১১ মাস। এর পরও হাজিরা খাতা ও বেতন বিলের শিটে নিয়মিত স্বাক্ষর করে ব্যাংক থেকে মাসের বেতন উত্তোলন করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি মাদরাসা সুপার জানলেও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চপই দাখিল মাদরাসায় ঘটনাটি ঘটে।

বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাদরাসা পরিদর্শনও করেন। অন্যদিকে এ ঘটনা প্রচারিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষক গতকাল বুধবার দুপুরে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে অপরাধ ঢাকতে তড়িঘড়ি করে পদত্যাগপত্র জমা দেন।অভিযুক্ত শিক্ষক হচ্ছেন মো. আব্দুল গাফফার। ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর তিনি এই মাদরাসায় যোগ দেন।

এর পর থেকেই তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। প্রতি মাসে তিনি বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন ১৭ হাজার ৬২০ টাকা। জানা যায়, মাদরাসাটির অবস্থান নান্দাইল উপজেলার মুশল্লী ইউনিয়নের চকমতি এলাকায়। সব শিক্ষক-কর্মচারী নিয়মিত উপস্থিত থাকেলেও উপস্থিত থাকেন না ইংরেজি শিক্ষক আব্দুল গাফফার।
শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা এই নামে কোনো শিক্ষককে কখনো দেখেনি। গতকাল বুধবার সকালে মাদরাসায় গিয়ে সুপার মো. হারুন অর রশিদকে পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষক আব্দুল গাফফারের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সুপার বেকায়দায় পড়ে যান। এ অবস্থায় অভিযুক্ত শিক্ষক গাফফারকে ডেকে আনেন তিনি। পরে গতকাল দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যান।
সেখানে উপস্থিত মাদরাসার একজন কর্মচারী জানান, শিক্ষক গাফফার নিজের ভুল শিকার করে পদত্যাগপত্র জমা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।চপই মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি চিনু মিয়া বলেন, যেদিন ওই শিক্ষক যোগ দেন সেদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য ছিলেন। এরপর আর কখনো দেখা যায়নি। কিন্তু সুপার ও সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম মিলে অনুপস্থিত শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে প্রতি মাসেই বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন।

নান্দাইল চপই দাখিল মাদরাসার সুপার হারুন অর রশিদ জানান, শিক্ষক গাফফার একবারে আসেননি, সেটা সঠিক নয়। মাঝেমধ্যে এসে স্বাক্ষর করে গেছেন। তাহলে মাস শেষে বেতন উত্তোলন করলেন কিভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মাদরাসার অভ্যন্তরীণ বিষয়। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কৃষ্ণ পাল জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ জানার পর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিল। তবে এক দিন পর ওই শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দেন। এত দিন কিভাবে ওই শিক্ষকের বেতন-ভাতা উত্তোলিত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।

সূত্র: কালের কন্ঠ

Spread the love

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews