সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সব ক্ষেত্রেই ঘটে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তা থেকে রক্ষা পায়নি ইউনিয়ন পরিষদগুলো। অনেক জায়গায় জনতা ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়। গাঢাকা দেন পরিষদের চেয়ারম্যান-সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর ক্ষুব্ধ জনতা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তাদের বক্তব্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা এর আগে নিজের অবস্থান থেকে পরিষদ পরিচালনা করলেও ছিল অনিয়ম, অবহেলা ও দুর্নীতিতে ভরপুর। এর মধ্যে স্থানীয় সমঝোতায় কয়েকটি পরিষদের তালা খোলা গেলেও বেশির ভাগ পরিষদে এখনো তালা ঝুলছে। এতে জনগণের ভোগান্তি চরমে রয়েছে।
তবে নান্দাইলের পাঁচটি ইউনিয়নে খবর নিয়ে জানা গেছে, তালা লাগানোর ফলে চেয়ারম্যনরা যেতে পারছেন না। তা ছাড়া একটা ভীতি কাজ করছে। এ অবস্থায় ওই সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজ বাসাবাড়ি, স্থানীয় বাজারের দোকানঘর, এমনকি জনসাধারণের বাড়িতে গিয়ে পুকুরপারে ও বারান্দায় বসে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে আসছেন।
নান্দাইলের শেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ভুঁইয়া মিল্টনের নিজের ফেসবুক আইডিতে দেখা যায়, তিনি প্রায় প্রতিদিনই ইউনিয়নের লোকজনের সেবা দিয়ে ছবি পোস্ট করছেন। ছবিতে দেখা যায়, বাজারের দোকানঘর, ঘরের বারান্দায়, গাছতলায় বসেও সেবা দিচ্ছেন।
নান্দাইলের আচারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত সময় রয়েছে। এ অবস্থায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে তালা ঝোলানো বেআইনি। তার পরও জনসাধারণের যাতে ভোগান্তি না হয় তার জন্য নিজ বাসায় বসে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।’
নান্দাইল ইউএনও অরুণ কৃষ্ণ পাল জানান, অতিদ্রুতই বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিকল্পনা হচ্ছে।
সূত্র: কালের কন্ঠ
Leave a Reply