জানা যায়, নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর চাচাতো বোনকে ওই গ্রামেই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বেড়াতে গেলে ওই দুই যুবক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা সবাই জেনে গেলেও ধামাচাপা দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার রাতে এ বিষয়টি নিয়ে সালিশ হয় নান্দাইল-জাহাঙ্গীরপুর সড়কের সিংদই কলেজগেট এলাকায়। সালিশের আয়োজন করেন সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হাসিম উদ্দিন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত দুই যুবকের পক্ষের সিরাজুল, রফিকুল, রুবেল ও ফখর উদ্দিনসহ অনেকেই। অন্যদিকে, মেয়ের পক্ষে তার বাবা ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। সেই সালিশে সিদ্ধান্ত হয়, প্রথম অভিযুক্ত পারভেজ দেবেন এক লাখ ২০ হাজার ও শবি মিয়া দেবেন ৫০ হাজার। এই টাকা পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ের বাবাকে দেওয়া হবে। এরপর রাত থেকেই মেয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান দিনমজুর বাবা।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শবি মিয়ার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। শবির মা রেনু আক্তার বলেন, এইডা তো শেষ অইছে, অহন তে আপনারা কেলা? কত টাকায় শেষ হইছে জানতে চাইলে রেনু আক্তার বলেন, বউয়ে কইতারবো। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শবির স্ত্রী শেফালী আক্তার জানান, তার স্বামী দিয়েছেন ৫০ হাজার ও পারভেজ এক লাখ ২০ হাজার টাকা। অন্যদিকে, প্রধান অভিযুক্ত পারভেজকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা রতন মিয়া বলেন, আমার ছেড়া তো দুই মাস ধইরা বাড়িতেই নাই। এইডা মিছা প্রচার।
জানতে চাইলে সালিশের আয়োজক সাবেক চেয়ারম্যান হাসিম উদ্দিন জানান, সালিশে বসা হয়নি। তবে আয়োজনের চেষ্টা চলচিল। এ অবস্থায় জানা গেছে মেয়ের বাবা বাড়িতে নেই। এলাকার লোকজন তো বলছেন সালিশ হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহম্মেদ জানান, তিনি এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। তবে এখন একজন অফিসারকে ওই এলাকায় পাঠানো হবে।
সূত্র: কালের কন্ঠ।
Leave a Reply