স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের পলাশিয়া গ্রামের একটি নিরীহ পরিবার প্রতিপক্ষের মাধ্যমে নিমর্মভাবে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবর পলাশিয়া গ্রামের মৃত হাসিম আলীর স্ত্রী মোছাঃ রাজিয়া আক্তার কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানাগেছে, একই গ্রামের মৃত হাসিম আলীর চার পুত্র যথাক্রমে হারুন অর রশিদ, মোঃ আবদুল হান্নান, আবদুল আউয়াল ও শাহজাহান কর্তৃক উক্ত মহিলার পুত্র একেএম শাকিরুজ্জামান সাব্বিরকে সব সময় অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। তারা পরস্পর সৎ ভাই। শুধু তাই নয় বিবাদীরা পরস্পর যোগ সাজস করে সাব্বিরের নামে তার পিতা কর্তৃক লিখে দেওয়া পলাশিয়া মৌজায় ১৯৯ নং খতিয়ানে ৪১২/৪১৬ ও ৪১৭ নং দাগে ৩৪ ( চৌত্রিশ) শতাংশ ভূমি যাহার মধ্যে বাড়ি, গাছপালা ও পুকুর জোর পূর্বক বেদখল করে নিয়েছে এবং বাড়ির সামনে ১৫ (পনের) শতাংশ জমিতে একই এলাকার বাচ্ছু মিয়া পিতামৃত আকবর আলী নামে জনৈক ব্যক্তিকে দিয়ে দখল করে বাড়ি নিমার্ণ করেছে। এইক জমিতে লাগানো বড় রেন্ট্রি গাছ বিগত ২৯মে ২০২৪ তারিখে জোরপূর্বক কেটে নিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করেছে।
বর্তমানে উল্লেখিত বিবাদীরা মা রাজিয়া আক্তার ও পুত্র সাব্বিরকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেবার পায়তারা করে যাচ্ছে। বর্তমানে মা পুত্র তাদের নির্যাতনের কারণে জান ও মালের নিরপত্তাহীতনতায় ভোগছে। বিবাদীগন সব সময় তাদের খুন করার জন্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখাযায়। স্থানীয়ভাবে কয়েকবার দেন দরবার করা হলেও বিবাদীরা প্রভাবশালী হওয়ায় দেন দরবার অমান্য করে দিন দিন আরও নির্যাতন বৃদ্ধি করেছে। এই করুণ অবস্থায় মোছাঃ রাজিয়া আক্তার জীবনের নিরাপত্তা সহ জানমাল রক্ষা করার জন্য সহযোগিতা চেয়ে গত ৪ই আগষ্ট ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছেন। আবেদনের অনুলিপি ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরিপুর সার্কেল সহ নান্দাইলে কর্মরত সাংবাদিকদের নিকট প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টির প্রতি জরুরীভাবে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
Leave a Reply