স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের উদং গ্রামে পিতামৃত আবদুল হেকিম মাষ্টারের পুত্র মোঃ পিন্টু মিয়া মুশুলী ইউনিয়নের আগ মুশুলী গ্রামের পিতামৃত তাহের মিয়ার কন্যা মোছাঃ সুমাইয়া আক্তারকে দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস ধরে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে যাবার এক গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতিতা সুমাইয়ার চাচা মোঃ বুলবুল মিয়া কর্তৃক নান্দাইল মডেল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানাগেছে, গত ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখে সুমাইয়া আক্তার তাহার মা সানা আক্তারের নিকট যাওয়ার জন্য নিজ বাড়ি থেকে তাড়াইল থানা এলাকার উদ্যোশে রওনা হয়ে যায়। সুমাইয়া তাড়াইল থানা এলাকা গিয়ে তার মার ঠিকানা খোঁজে না পেয়ে এলোপাথারীভাবে ঘোরাফেরা করতে থাকে। এক পর্যায়ে অটোচালক বিবাদী মোঃ পিন্টু মিয়া তাকে তাড়াইল থানা সদরে পাইয়া ফুসলাইয়া বিভিন্ন মিথ্যা প্রলোভন দেখাইয়া বিবাদী মোঃ দোলন মিয়া (২৬) পিতামৃত আবদুল কাদির গ্রাম- উদং এর নিকট সুমাইয়াকে হন্তান্তর করে। উক্ত দোলন মিয়া সুমাইয়াকে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। তার সাথে বিবাহ বহিভূতভাবে দিন যাপন করে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে বাদী মোঃ বুলবুল মিয়া সহ বিবাদীরা বাড়িতে গিয়ে সুমাইয়া আক্তারকে উদ্ধারের চেষ্ঠা করলে বিবাদী দোলন মিয়া বাদীকে বিভিন্ন ধরনের ভয় হুমকী প্রদর্শন করে তাকে তাড়াইয়া দিয়া সুমাইয়াকে আকটে রেখে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ আহমেদ জানান, উক্ত বিষয়ে মোঃ বুলবুল মিয়া একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসআই আবদুস সালামকে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন সহ কিশোরী সুমাইয়া আক্তারকে দ্রুত উদ্ধার করার নিদের্শ প্রদান করা হয়েছে।
Leave a Reply