মঙ্গলবার (২৮ মে) সংস্থাটির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে সোমবার দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, বেনজীর আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা তা তদন্ত কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
দুদকের আইনজীবী বলেন, প্রয়োজন মনে করলে আদালতে বেনজীর আহমেদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাইবেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্তে যদি আরও অপরাধলব্ধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায় তাহলে সেগুলো জব্দে আদালতে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেনজীর আহমেদের সম্পত্তির ৮৩টি দলিল জব্দের আদেশ দেন আদালত। সঙ্গে দেয়া হয় ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ। এরমধ্যেই এসব সম্পত্তি জব্দের প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুদক।
এর দুদিন না যেতেই রবিবার (২৬ মে) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ আসে আদালত থেকে। এছাড়া রাজধানীর গুলশানের আলিশান চারটি ফ্ল্যাট, শতভাগ এবং আংশিক মালিকাধীন ২৩ কেম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয়া হয়েছে।
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নাম আছে। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।
সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে দাবি করা হয়, বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এ আইজি। জাতীয় ওই দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে তার নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়।
Leave a Reply